চকরিয়া প্রতিনিধি ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় উপজেলার খুটাখালী অাধিপাত্য বিস্তার নিয়ে দু’ডাকাত দলের গোলাগুলিতে ছৈয়দুল করিম (৩৩) নামের এক ঘের কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। শনিবার ভোররাতে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী মেদার খাল খুটাখালী ছড়ার মূখ সংলগ্ন হারুন মৌলভীর ঘোনায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। রবিবার রাতে নিহত ঘের কর্মচারীর পিতা ফজল করিম (৫৫) বাদী হয়ে এজাহারনামীয় আট জন ও অজ্ঞাতনামা ৫/৬জন ব্যক্তিকে আসামি করে চকরিয়া থানায় এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বাদী ফজল করিম উপজেলার খুটাখালীস্থ মধ্যম মেধাকচ্ছপিয়া এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে। এ দিকে ঘটনার পরদিন থানা পুলিশের একটি টীম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হত্যার ঘটনার মূলহোতাসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যক্তিরা হলেন, চিরিংগা ইউনিয়নের পশ্চিম পালাকাটা এলাকার নুরুল কবিরের পুত্র আবদুল আজিজ ও একই ইউনিয়নের পালাকাটা এলাকার কবির আহমদের পুত্র মোক্তার আহমদ। সোমবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে উল্লেখ্য করে, গত ১৫ (জুলাই) শনিবার ভোররাত আনুমানিক তিনটার দিকে খুটাখালী ইউনিয়নের বহলতলী ঘোনায় আজিজ ও সেলিমের মধ্যে চিংড়ি জোন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলি হয়। এসময় তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে চিংড়ি ঘের থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘের কর্মচারী ছৈয়দুল করিমসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়। রবিবার সকালে হারুন মৌলভীর ঘোনার বেড়িবাঁধের পাশে ঘের কর্মচারী ছৈয়দুল করিম (৩৫) লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।এ ঘটনায় নিহতের পিতা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীকে হত্যা মামলার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, চিংড়ি ঘেরে কর্মচারী নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহত ছৈয়দুল করিমের পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামী ও দুই নম্বর আসামীকে পুলিশ ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। অপর আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি জানান।
পাঠকের মতামত: